সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে পুলিশের সঙ্গে মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম এ লক্ষ্যে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তারা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক বিশেষ সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে সিইসি এ কথা বলেন।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে নূরুল হুদা বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা আমরা বলিনি। এটা আপনারা করবেন না। কারণ, এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তারা বিব্রত হন। আমরা এটা চাই না।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করবেন না। মামলা করবেন না। কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার করা যাবে না।
সিইসি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সিংহভাগ দায়িত্ব থাকে পুলিশের। ভোটারের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের ওপর ন্যস্ত থাকে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রোধ করাও পুলিশের দায়িত্ব।
সিইসি আরও বলেন, কমিশন আপনাদের কর্মকা- নজরদারি করবে। নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করবেন। ভালোভাবে যাচাই না করে আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তাই আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলার বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য একমাত্র পুলিশেরই আছে। তাই বিভিন্ন বাহিনী পুলিশের কাছ থেকেই পরামর্শ নেবে।
পুলিশকে এখনই কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে জানিয়ে সিইসি বলেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম পুলিশের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতি জেলায় থাকবে সশস্ত্রবাহিনীর ছোট টিম। এদেরকে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবেন। অন্যান্য বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। সভায় অন্য চার কমিশনার ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।