স্পর্ট মার্কেটে উচ্চমুল্যের কারনে এলএনজি সরবরাহে টান পড়তে শুরু করেছে। এতে চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে চলছে তিব্র গ্যাস সংকট। পহেলা নভেম্বর থেকে আরো একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংকট আরো প্রকট হবে। যা কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে ২ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে আরপিজিসিএল। ক্যাব বলছে বিকল্প ব্যবস্থা না করে আমদানীকরা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে গোটা দেশের জ্বালানী খাত। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, দ্রুত সংকটের সমাধান না হলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের প্রতিটি সিএনজি পাম্পের সামনে এখন যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। গত তিন দিন ধরেই গ্যাসের চাপ কম থাকায় সক্ষমতার অর্ধেকও ব্যবহার করতে পারছে না পাম্পগুলো। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়েও জ্বালানী সংগ্রহ করতে পারছে না যানবাহনগুলো।
একই অবস্থা শিল্পাঞ্চল ও আবাসিক বাসাবাড়িতেও। গ্যাস সংকটে জ্বলছে না চুলা। ঘুরছে না কলকারখানার চাকা।
আরপিজিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, মহেশখালীর দুটি ভাসমান টার্মিনাল থেকে দৈনিক সাড়ে ৭ শো থেকে ৮ শো মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হতো জাতীয় গ্রীডে। কিন্তু স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ৬ শো মিলিয়ন ঘটফুটে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে সংকট তীব্র হচ্ছে।
ক্যাব সহ-সভাপতি এ এসএম নাজের হোসেন বলেন, বিকল্প উপায় চিন্তা না করে আমদানীকৃত গ্যাসের ওপর গোটা দেশকে নির্ভরশীল করে তোলার পাশাপাশি এলএনজির যোগান নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাবে ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে জ্বালানী খাত।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস নেয়। এর মধ্যে সামিটের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাচ্ছে না তারা। এরইমধ্যে একটি লাইন বন্ধ হয়ে যায়। তাই চট্টগ্রামে তৈরি হয়েছে গ্যাস সংকট। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই গ্যাস সংকট আরও একমাস থাকবে।
জেএন/এফও/এমআর