অপহরণের সময় হামাস সদস্যরা মারধর করেছিল, কিন্তু গাজা উপত্যকায় বন্দি থাকার সময় ‘ভালো’ ব্যবহার করেছিল বলে জানিয়েছেন মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি নারী ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ। মঙ্গলবার তেল আবিবের একটি হাসপাতালের বাইরে হুইলচেয়ারে তিনি এই কথা জানান।
ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ বলেন, ‘অপহরণকারীরা গত ৭ অক্টোবর একটি মোটরসাইকেলের পেছনে করে গাজায় নিয়ে যায়। আমি যখন বাইকে ছিলাম, তখন আমার মাথা একপাশে এবং আমার শরীরের বাকি অংশ অন্য দিকে ছিল। পথে তারা আমাকে মারধর করে। এতে আমার পাঁজর ভাঙেনি, তবে আমার শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়েছিল।’
ইসরায়েলি এ নারী আরও বলেন, ‘আমি যেন জাহান্নামের মধ্য দিয়ে গেছি। আমরা ভাবিনি বা জানতাম না যে আমরা এই পরিস্থিতিতে পৌঁছব।’
তবে গাজায় নেওয়ার পর তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানান মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি নারী ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ। তিনি বলেন, হামাস সদস্যরা আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছিল। তারা যে খাবার খেত সেই খাবার আমাকে ও অন্য বন্দিদের খেতে দিত এবং চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তারকে নিয়ে এসেছিল।’
হামাস বন্দিদের সব চাহিদা মেটাতো বলে জানান ৮৫ বছর বয়সী এ ইসরায়েলি নারী।
দুই সপ্তাহ ধরে বন্দি ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ ও নুরিত কুপারকে (৭৯) গত সোমবার রাতে মুক্তি দেয় হামাস। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস তাদের ‘মানবিক’ কারণে মুক্তি দিয়েছিল বলে গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর পর থেকে এই নিয়ে চার ইসরায়েলি নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তবে বিদেশি এবং দ্বৈত নাগরিকসহ এখনও প্রায় ২১৮ জন হামাসের হাতে বন্দি রয়েছে।
জেএন/এমআর