বিএনপি ও জামায়াতে ডাকা হরতাল উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবর্তনে ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিসহ ১৯ হাজার অংশগ্রহণকারীকে স্মারক ক্রেস্ট দেওয়া হবে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করেন। এরপর ১১টা ৫ মিনিটে তিনি মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে ১০টা ৫০ মিনিটে শোভাযাত্রা নিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী আমন্ত্রিত অতিথিরা সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করেন।
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন সমাবর্তন সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। পরে বঙ্গবন্ধু ও সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পর্যায়ক্রমে ধর্মীয় গ্রন্থগুলো থেকে পাঠ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং ঢাবি ও বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সমাবর্তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ৫৪তম সমাবর্তন। এর আগে মোট ৫৩ জন স্বনামধন্য ব্যক্তিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় সমাবর্তন বক্তব্য দেওয়া হয়।
জেএন/এমআর