দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কান ব্যাটারদের খুব বেশি দূর যেতে দেননি রশিদখান-মুজিব উর রহমানরা। জয়ের বাকি কাজটুকু সেরেছেন ব্যাটাররা। ৭ উইকেটের বড় জয়ে আসরে টিকে রইলো আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আসরে প্রথম জয় পেয়েছিল তারা। এরপর পাকিস্তান, আর এবার শ্রীলঙ্কা সবমিলিয়ে ৬ ম্যাচে আফগানদের ৩ জয়।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ বলে ৪৬ রান করেছেন নিশাঙ্কা। আফগানদের হয়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ফজল হক ফারুকী। জবাবে খেলতে নেমে ৪৫ ওভার ২ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান এসেছে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৪ বল খেলে ডাক মেরেছেন এই ওপেনার। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দিয়েছেন ইব্রাহিম ও রহমত শাহ। ৩৭ রান করে ইব্রাহিম ফিরলে ভাঙে ৭৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
রহমত ফিরেছেন ফিফটি করে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭৪ বলে ৬২ রান। এরপর মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। এই দুইজনের অপরাজিত ফিফটিতে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দিমুথ করুণারত্নেকে হারায় শ্রীলঙ্কা। ফারুকীর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ১৫ রান।
করুণারত্নে দ্রুত ফিরলেও সেই ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৪৬ রান করে নিশাঙ্কা ফিরলে ভাঙ্গে সেই জুটি। এরপর মেন্ডিসও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনননি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ রান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। সামারাবিক্রমা-ধানাঞ্জয়া ডি সিলভারা উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষদিকে মাহিশ থিকশানা ৩১ বলে ২৯ রান করলে লড়াই করার পুঁজি পায় লঙ্কানরা।
জেএন/এমআর