মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে নিয়ে বিএনপির বিতর্কিত ও হাস্যকর কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আসলে তাদের নেতাই নেই, দলটির সমস্যা এটাই।’
ব্রাসেলস সফর নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, একজন ফ্রড, ভুয়া সে এসে তাদের (বিএনপির) অফিসে বসে সাফাই গাইল। আর যখন ধরা পড়ল তখন বলল, জানে না। আসলে তাদের (বিএনপির) নেতাই নেই। দলটার সমস্যাটাই এটা। নেতৃত্ব নেই, আছে কিছু মাইকবাজ। সারাদিন মুখে মাইক লাগিয়ে কথা বলে। সেটাও এখন আবার আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে গেছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে সেই সুবিধা নিয়ে কথা বলছে।
২৮ অক্টোবর বা পরবর্তীতে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, কিছু অপরাধী জামিন পেয়ে ছুটে এসেছে। জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেহেতু এরা জামিন পেয়ে গেছে, এরা অপরাধ করছে। এদের দ্রুত সাজা দিয়ে শিক্ষা দেওয়া উচিত। এভাবে আগুন লাগাবে আর মানুষের ক্ষতি করবে এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। যারা এভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে যাচ্ছে, তাদের সাজাটা যেন ঠিকমতো হয়; সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতে শাস্তি দিলে তাহলে তারা কষ্ট বুঝতে পারবে।
এ সময় দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, দেশবাসীকে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা এসব অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ধরিয়ে দিন। এর আগে তারা যখন শুরু করেছে তখনও মানুষ ঠেকিয়েছে। এবারও মানুষই ঠেকাবে।
২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনা সরকারের পক্ষে গেল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাভ-লোকসানের ব্যাপার না। মানুষকে হত্যা করছে, মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে। বরং আমাদের লাভ-লোকসান না জিজ্ঞেস করে বিএনপি জিজ্ঞেস করা দরকার; তারা যে গুন্ডামি-সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাস করে যাচ্ছে তাতে তারা কতটুকু লাভবান হচ্ছে। এটা আপনারা (প্রশ্ন করা সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রী) বরং বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করেন।
জেএন/এমআর