নানা অনিয়মের কারণে চট্টগ্রামের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ১৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দিলেও প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম এখনো বন্ধ হয়নি।
জানা যায়, সিভিল সার্জনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স স্থগিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সিভিল সার্জনকে দেওয়া ওই চিঠিতে শেভরনের কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
কিন্তু গত ১৩ দিনেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো ভুল শোধরাতে তাদের আরও সাতদিন সময় দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, লাইসেন্স স্থগিত করার চিঠিটি শেভরন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে। শেভরনের লাইসেন্স স্থগিত করা হলেও তারা কার্যক্রম চালাতে পারবে।
কারণ সেখানে অনেক বড় বড় চিকিৎসক রোগী দেখেন। তাঁদের অনিয়মগুলো সমাধান করলে বা প্রমাণ দিতে পারলে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হবে।
শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করলে দেখা যায়, চিকিৎসক মারা যাওয়ার ৮ বছর পরও সেই চিকিৎসকের নামে রিপোর্ট দিয়েছে শেভরণ।
গত ২৬ আগস্ট রোকেয়া বেগম নামের এক রোগীকে শেভরণের দেওয়া ইকোকার্ডিওগ্রাফির রিপোর্টে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেজাউলের নাম দেখা যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা আদায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট (স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যবহৃত রাসায়নিক মিশ্রণ) ব্যবহারের মতো ভয়াবহ অভিযোগও রয়েছে শেভরণের বিরুদ্ধে।
একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
জেএন/হিমেল/আর এস