নেত্রীর সংকেত পাওয়া মাত্র আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবে: আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। তাঁর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই কোথাও আলবদর, রাজাকার এবং পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের চিহ্ন রাখবো না।

- Advertisement -

‘আমরা এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, আতাউর রহমান খান কায়সার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী, বাবু, এম এ মান্নান, এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর উত্তরসূরী। আমরা তাঁদের কাছ থেকেই দীক্ষা নিয়েছি আন্দোলন, লড়াই ও সংগ্রামের।

- Advertisement -google news follower

এই তিনটি বিষয় আমাদের কাছে পবিত্র। এর পবিত্রতা আমরা যেকোনও মূল্যে রক্ষা করবোই।

আজ যারা আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদেরকে রুখবোই। যেকোনো মূল্যে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে একাত্তরের হাতিয়ার হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত আছি।

- Advertisement -islamibank

একাত্তর, পঁচাত্তর এবং ২০০৪ সালের ঘটনা একসূত্রে গাঁথা। এসব ঘটনার খলনায়ক এবং কুশিলব জিয়াউর রহমানসহ বংশধরদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য নেত্রী শেখ হাসিনার সংকেত পাওয়া মাত্র আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে জেল হত্যা দিবস পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতার কলংককেও হার মানিয়েছে ৩ নভেম্বরে জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি।

এই ঘটনার মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমান। এখন তার মরণোত্তর বিচার হলে জাতীয় চার নেতার আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের রাজপথে মোকাবিলার শক্তি নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি।

চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের চারণক্ষেত্র এবং বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি। এই পবিত্র ভূমিতে অসভ্য বর্বর রাজাকার আলবদরদের ঠাঁই নেই।

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নির্বাহী সদস্য ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী নুরুল আমিন, ফারুক আহমেদ, হাজী মো. হাসান।

সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, বদিউল আলম, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, সফর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, মো. আবু তাহের, শহীদুল আলম, আবুল মনছুর, পেয়ার মোহাম্মদ, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, কামরুল হাসান বুলু, আহাম্মদ ইলিয়াস, হাজী রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ।

এছাড়া ১৫টি থানা ও ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেএন/রাজীব

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM