চট্টগ্রাম থেকে কালুঘাট সেতু হয়ে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছালো পরীক্ষামূলক ট্রেন। রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটের দিকে ট্রেনটি কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়। এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তরের সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই ট্রেনে যাত্রা করেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রেনটির পরীক্ষামূলক এই যাত্রা পরিচালনা করছেন লোকোমাস্টার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও সহকারী লোকোমাস্টার রুখন মিয়া।
আগামী ১১ নভেম্বর দোলহাজারী কক্সবাজার ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তরের সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদ বলেন, জিআইবিআর স্পেশাল ট্রেন সকাল ৯টা ২০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়েছে। সর্বোচ্চ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় রেল ভায়াডাক্ট এ পথে নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০ কিলোমিটার গতিতে এ রেলপথে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
স্থানীয়রা আরও জানান, কক্সবাজারে আগে কোনো রেলপথ ছিল না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কক্সবাজার রেল আসছে। আজ প্রথমবারের মতো ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আসছে বিষয়টি গৌরবের।
সম্ভাব্য ট্রেনের সময়সূচি
ঢাকা থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে যাত্রা করে সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ঢাকা থেকে কক্সবাজারের সর্বনিম্ন ৫১৫ টাকা। সর্বোচ্চ এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ২,০৩৬ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৫৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭৭৮ টাকা।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করছে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের আওতায় ৩৯টি বড় সেতু, ২২৩টি ছোট সেতু ও কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণির ৯৬টি লেভেল ক্রসিং। হাতি চলাচলের জন্য রয়েছে আন্ডারপাস। নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি স্টেশন। স্টেশনগুলো হলো- দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার।
জেএন/এমআর