আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে যে উৎকণ্ঠা শনিবার (২৪ নভেম্বর) কিংবা রোববারের (২৫ নভেম্বর) মধ্যে তার অবসান হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট কে পাবেন, কে পাবেন না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে এই দুই দিনের মধ্যে।
সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদপত্র কয়েকটি আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। কারা থাকছেন, কারা বাদ পড়ছেন, সে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে ওইসব প্রতিবেদনে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন নিয়ে যেসব নিউজ প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। আমরা দলের পক্ষে এখনও মনোনয়ন দিইনি। জোটগতভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে। আমরা এখনো কাউকে মনোনয়ন দিইনি, দিয়েছে মিডিয়া। পত্রিকায় প্রকাশিত এ মনোনয়নের তালিকা মনগড়া।
সূত্র মতে, কয়েক দফা বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করছে। শরিকদের সাথেও আসন ভাগাভাগির বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে।
তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্টের মতো শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই। শরিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৬টি আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত নিশ্চিত করে বলেন, বিতর্কের কারণে কক্সবাজারে আব্দুর রহমান বদি ও টাঙ্গাইলে আমানুর রহমান খান রানাকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বদির জায়গায় তার স্ত্রী শাহীনা আক্তার চৌধুরী মনোনয়ন পাচ্ছেন। আর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে রানার জায়গায় মনোনয়ন পাচ্ছেন তার বাবা আতাউর রহমান খান। মাশরাফি নড়াইল-২ আসনেই নির্বাচন করবেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দুটি আসনে নির্বাচন করবেন। একটি টুঙ্গিপাড়া আরেকটি পীরগঞ্জ আসনে।
আর নোয়াখালী-৫ আসনে তিনি নিজেই নির্বাচন করবেন বলে জানান কাদের।
মনোনয়নের ব্যাপারে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যোগ্য প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে।