দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন ও মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন করতে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও আরও ১৩টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আকাশ পথে কক্সবাজারে পৌঁছান তিনি।
সরকারপ্রধান কক্সবাজার বিমাবন্দর থেকে সড়ক পথে আইকনিক রেলস্টেশনে যাবেন। সেখানে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেল লাইন রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন এবং কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করবেন।
এরপর রেলযোগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু স্টেশন যাবেন। সেখান থেকে সড়ক পথে রামু সেনানিবাস হয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলে যাবেন। চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলো হলো দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ, বাঁকখালী নদীর ওপর কস্তুরাঘাট-খুরুশকুল সংযোগ সেতু, কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভূমি ভরাট, প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, অ্যাপ্রোচ রোড ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ, উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডিজাইন ও স্থাপনকরণ, মহেশখালী গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতা বাজার সড়ক মজবুত ও প্রশস্তকরণ, কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, চকরিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, ঈদগাঁও জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, মহেশখালী ইউনুচখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, উখিয়া রত্নাপালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং রামু কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রকল্প।
এ ছাড়া টেকনাফ মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ, রামু উপজেলা জোয়ারিয়ানালা-নন্দাখালী সড়কে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, কক্সবাজার সদরে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (চতুর্থ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের টার্মিনাল-১ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
জেএন/আর এস