সর্বশেষ ২০০৪ সালে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আজ রোববার (১২ নভেম্বর) নরসিংদী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। প্রকল্পসমূহ উদ্বোধনের পর জেলার মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি অনুযায়ী, রবিবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পলাশে এশিয়ার বৃহত্তম গ্রীন ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে তার। সভা শেষে বেলা আড়াইটায় নরসিংদী সার্কিট হাউজে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকালে মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি। সেখানেই ৪৭ কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ১২৬ টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাকি ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন সরকার প্রধান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা নরসিংদী। এসএসএফ, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নরসিংদীতে অবস্থান করছেন।
এছাড়া নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়াম ও আশপাশ এলাকা এবং পলাশের ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারখারখানা এলাকায় নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে পুরো নরসিংদীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।’
শিল্পমন্ত্রী ও নরসিংদী-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে উন্নয়নের যে বিপ্লব করেছেন নরসিংদী তার বাইরে নয়। তিনি নরসিংদীর পলাশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানা নির্মাণ করেছেন। নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বেলাবোতে আরেকটি শিল্পনগরী স্থাপন প্রক্রিয়াধীন আছে।’
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নরসিংদীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কলেজ ও কৃষকদের উৎপাদিত সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের বিষয়ে অবগত আছেন তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। আশা করি, সমাবেশের মঞ্চ থেকে নরসিংদীবাসীর দাবিগুলো উপহার হিসেবে দেবেন তিনি।’