অপেক্ষা কিংবা জটিলতা, সবকিছুরই ইতি টেনে অবশেষে অনুষ্ঠানিকভাবে দ্বার খুলে গেলো পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটি আনুষ্ঠানিকবাবে উদ্বোধন করেন।
এই সময় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েলসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, আজ উদ্বোধন হওয়া পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। এ ছাড়া এটি মোহনার কাছে হওয়ায় দ্রুত কনটেইনার পরিবহন করা যাবে।
জানা যায়, পিসিটির অপারেশনাল কাজ শুরু হলে এই টার্মিনালে একসঙ্গে তিনটি জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর সুবিধা থাকবে। এখান থেকে বছরে সাড়ে চার লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। এছাড়া, একই টার্মিনালে তেলবাহী জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধাও থাকবে।
এই টার্মিনালে রয়েছে ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটিজসহ ৫৮৩ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার জেটি, ২২০ দীর্ঘ ডলফিন জেটি, ৮৯ হাজার বর্গমিটার আরসিসি ইয়ার্ড, দুই হাজার ১২৮ বর্গমিটার কনটেইনার শুল্ক স্টেশন, দুই হাজার ১৫০ মিটার লম্বা ছয় মিটার উচ্চ কাস্টম বন্ডেড হাউজ, দুই হাজার ৫০০ মিটার রেলওয়ে ট্রাক, ৪২০ মিটার ফ্লাইওভার, এক হাজার ২০০ বর্গমিটার মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ ও পাঁচ হাজার ৫৮০ বর্গমিটারের অফিস বিল্ডিং।
যেখানে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে নয় মিটার গভীরতা ও ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়তে পারে। এই টার্মিনাল অপারেশনে গেলে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ দশমিক পাঁচ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯৪ ভাগ আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। আবার মূল রপ্তানি বাণিজ্যের ৯৮ শতাংশ এ বন্দর দিয়ে হয়। প্রতি বছর জাহাজ, কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়তে থাকায় তা সামাল দেওয়া চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এজন্য সক্ষমতা বাড়াতে নতুন প্রকল্প হাতে নিতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
ডিপিএম (সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি) পদ্ধতিতে এই প্রকল্পের কার্যাদেশ পায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ২০১৭ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু করেছিলো।
জেএন/হিমেল/রাজীব