শরৎ ঋতুকে বিদায় দিয়ে অনেক আগে শুরু হয়েছে হেমন্ত। দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। দিনভর গরম থাকলেও বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি।
অন্যান্য বছরগুলোতে একটু দেরিতে শুরু হলেও এ বছর নভেম্বরের শুরুতেই অনুভূত হচ্ছে শীত। তাই তো শীতের ছোঁয়ায় বাজারেও লেগেছে উষ্ণতার পরশ।
শীতের আগে জমজমাট চট্টগ্রাম নগরীর নামি দামি শপিংমলগুলো। শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে নগরীর রেয়াজউদ্দীন বাজার, নিউ মার্কেট এলাকা ও হকার মার্কেটের সামনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। অলিগলিতে ভ্রাম্যমাণ দোকানিরাও ভ্যানে করে শীতের পোশাক বিক্রির জন্য হাঁকডাক শুরু করেছে।
জানা গেছে, খাতুনগঞ্জ ও আসাদগঞ্জের আমদানিকারকরা কন্টেইনার ভরে নতুন-পুরাতন গরম কাপড় আমদানি শুরু করেছে। এখান থেকেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এসব কাপড়-চোপড়। পরিপাটি শীতের পোশাক শোভা পাচ্ছে নামি শপিংমলগুলোতেও। যদিও তেমন একটা বিকিকিনি নেই এখনও।
সরেজমিনে হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ছেলেদের সোয়েটার ৪শ থেকে ৬শ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা, মেয়েদের সোয়েটার ও জ্যাকেটের দাম মানভেদে ৫শ থেকে ৮শ টাকা, বাচ্চাদের সোয়েটার ২শ থেকে ৮শ টাকা, মাফলার ১শ থেকে ৪শ টাকা এবং টুপি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
হাকার্স মার্কেটের ম্যান্স মার্টের মালিক অনীস জানান, গত বছর শীতের কাপড়ের তেমন ব্যবসা হয়নি। এবার যেহেতু একটু তাড়াতাড়ি শীত অনুভূত হচ্ছে, আশা করছি এবার ভালো বিক্রি হবে।
তিনি জানান, প্রতি বছরের মতো এবছরও নিত্যনতুন ডিজাইনের শীতের কাপড় এসেছে। তবে এখনও বাজার জমে ওঠেনি।
শৈল্পিকের সহকারী ম্যানেজার শোভন বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা নতুন নতুন কিছু কালেকশন রেখেছি। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী আমরা লেদার জ্যাকেট, ক্যাজুয়াল ব্লেজার, নিট জ্যাকেট, সোয়াটার বাজারে এনেছি। এছাড়া শৈল্পিকের প্রায় ব্রান্চে ডিস্কাউন্ট চলছে। তবে এখনো বেচাবিক্রি তেমনটা নেই।
রিয়াজুদ্দিন বাজারে আসা ক্রেতা ফাহামিদা রহমান বলেন, আমি এসেছি সাতকানিয়া থেকে। শহর এলাকায় তেমন শীত অনুভুব না হলেও গ্রামে তো শীত শুরু হয়েছে।
তাই নিজের জন্য ও বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে এবার গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি। দাম বেশি হলেও কিনতে তো হবে।
জেএন/হিমেল/রাজীব