ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব পড়েছে নগরে, প্রস্তুত জেলা প্রশাসন

চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাবে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে। সেই সাথে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে আকাশ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে শ্রমজীবি মানুষের।

- Advertisement -

সকাল থেকে নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। নদী তীরের মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরের রাস্তা-ঘাটে বের হচ্ছে না কেউ।

- Advertisement -google news follower

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও মিধিলির প্রভাবে রাস্তায় লোকজন ও যানবাহন কম দেখা গেছে। তবে কিছু স্কুলে, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবরোধের কারনে স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো শুক্রবার সকাল থেকে নেওয়া হচ্ছে। তাই নিয়ে কিছুটা ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এদিকে চট্টগ্রামে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারনে অনেক সড়ক ও অলিগলি হাঁটু পানিতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে। দোকানপাট ঠিকমতো খুলছে না। এতে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে সাধারন মানুষ ও পরীক্ষার্থীদের।

- Advertisement -islamibank

চট্টগ্রাম বন্দরকে অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে বন্দর কতৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। জাহাজগুলো নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণে বন্দর ভবনে চলছে জরুরি সভা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্রেতারা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নগরের রিয়াউদ্দিন বাজার, কাজির দেউড়ি, চকবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজারের কথা আসলে বলতে হয় ‘একে তে নাচুনী বুড়ি, তার উপর ঢোলের বারি’। অবরোধের কারনে দেশের বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পন্য আনা নেওয়া প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। তার উপর আরো প্রভাব পরলো ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবরকম ভোগ্যপণ্যের দাম। এর প্রভাবে প্রভাবে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম।

এদিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ধসের সম্ভবনা রয়েছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বার বার ই মাইকিং করছে পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে। বিপদজনক এলাকাগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে নিচ্ছে জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন রাতে জরুরি সভা করে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকার পাশাপাশি ২৪৪ মেট্রিক টন চাল, ছয় লাখ ৮০ হাজার গো খাদ্য, ছয় লাখ ৮০ হাজার শিশু খাদ্য মজুত আছে। জেলা প্রশাসন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।

জেএন/হিমেল/রাজীব

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM