বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় মিধিলি আঘাতে নোয়াখালী ও ভোলা জেলায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
শুক্রবার ও শনিবার সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান এবং ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর উপকূল জুড়ে তাণ্ডব চালায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি। এতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে হাতিয়া উপজেলায়। এছাড়া জেলায় সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে, ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলের খেতের।
ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও জেলা শহর। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে নোয়াখালীর সব উপজেলার মধ্যে দুর্যোগ কবলিত ইউনিয়ন সংখ্যা ৩৪টি। আর দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬০ জন।
জেলায় মোট ১ হাজার ১২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তার মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৯১৩টি বাড়ি এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২১২টি বাড়ি। তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র আঘাতে ভোলা জেলার চার উপজেলায় সাড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানায় ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান।
তিনি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, জেলার সাত উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রথামিক তথ্য মতে, ভোলা সদর উপজেলায় ১০ ঘর পুরোপুরি ও ২০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৫টি ঘর, লালমোহনে ৫০টি, মনপুরায় ৫২টি এবং চরফ্যাশনে ২১৯টি কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় সব উপজেলায় আমন ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করছেন। এখনও সঠিক তথ্য বলা যাচ্ছে না। তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
জেএন/পিআর