রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা।
আজ কবি সুফিয়া কামালের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত কবি সুফিয়া কামালের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। ’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তখন বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শিখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতা চর্চা শুরু করেন।
সুললিত ভাষায় ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তাঁর কবিতায় ফুটে উঠতো সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও সমাজের সার্বিক চিত্র।
তিনি বলেন, নারী সমাজকে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার, মুক্তিযুদ্ধসহ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনে তিনি আমৃত্যু সক্রিয় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সুফিয়া কামাল ছিলেন তার অন্যতম উদ্যোক্তা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কবি সুফিয়া কামাল সমাজের শিক্ষা ও অধিকার বঞ্চিত নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করেছিলেন। নারী পুরুষের সমতা নিশ্চিত এবং সবার জন্য নিপীড়নহীন মানবিক মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’।
বিভিন্ন গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অবদানের জন্য তাঁকে ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘কবি সুফিয়া কামাল তাঁর কাব্য প্রতিভা ও কর্মের গুণে আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। মহীয়সী এ নারীর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম একটি বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
রাষ্ট্রপতি কবি সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
জেএন/পিআর