দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন না হলে জোট নয়। জোটের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একটি জোটের বিপরীতে আরেকটি জোট হয়। সেক্ষেত্রে জোটের প্রয়োজন না পড়লে কেন জোট করতে যাব?’
আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শরিকদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা ১৪-দলীয় জোটের চেয়ারম্যান।
আমরা শরিকদের বিষয়ে এখনো ঠিক করিনি। কারণ জোটের বিপরীতে জোট হয়। আমাদের প্রতিপক্ষের যদি একটা বড় জোট হয় সেটার বিপরীতে আমাদেরও জোট হবে। তা ছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাব। প্রয়োজন না থাকলে জোট করব না। জোট করব যাদের নিয়ে মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন মুখ কেমন আসছে? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন-পুরাতন মিলিয়েই আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি। যেখানে পুরোনোরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে সেখানে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। ইলেকট্যাবল ক্যান্ডিডেট যারা সেটাই হচ্ছে বিচারের মানদন্ড।
এছাড়া কতজনকে বাদ দেব, কতজন রাখব এ ধরনের সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের মাথায় রয়েছে কাকে দিলে আমাদের দল নির্বাচনে জনগণের কাছে অধিকতর যোগ্য হবে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় দলটির সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি। এতে দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভবনে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবারও মুলতবি সভা হয়।
দুই দিনে রাজশাহী ও রংপুরের পর আরও চারটি বিভাগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জেএন/পিআর