নির্বাচন নিয়ে যে রাজনৈতিক বিভক্তি তৈরি হয়েছে তা অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গণতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
উপ নির্বাচনের অপসংস্কৃতি আমরা, প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সোমবার সকালে নির্বাচন ভবনে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা দিয়ে গঠিত নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ইসি প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আমরা একটি ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল ইলেকশন চাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো আমাদের নির্বাচনে বাইরে থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে।
আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া সবাইকে উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, যে দায়িত্ব পালন করবেন সেখানে যেন আপনাদের সততা ও সাহসিকতা থাকে।
তিনি বলেন, কমিশন কখনই এককভাবে নির্বাচন করতে পারে না। প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়। সবার সৎ ও সাহসী মনোভাব দরকার। আমরা আশা করবো, আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।
সিইসি বলেন, আচরণবিধি কেউ লঙ্ঘন করছে কিনা দেখবেন। আপনারা সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করবেন। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা রক্ষায় আপনারা যতদূর পারেন সাহায্য করবেন। কেননা নির্বাচন নিয়ে দেশ একটা সঙ্কটে, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে।
৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা দিয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা দিয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা সফল হবো অথবা ব্যর্থ হবো। তবে আমরা ব্যর্থ হতে চাই না। আপনারা পক্ষপাতহীন ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
আমরা অবিতর্কিত ফলাফল চাচ্ছি। ফলাফল নিয়ে যেন বিতর্ক না হয়; যোগ করেন সিইসি।
সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রথম দিন ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
জেএন/পিআর