বিএনপি-জামায়াত ইসলাম ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গাজায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার সোচ্চার হলেও বিএনপি-জামায়াত নীরব। তারা একটি শব্দও করে না।

- Advertisement -

বিএনপি-জামায়াত ইহুদিদের অখুশি করতে চায় না বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

- Advertisement -google news follower

তিনি বলেন, ‘জামায়াত ইসলামের স্লোগান দিলেও এখন কিছু বলে না। আল্লাহ পাক তাদের ওপর নারাজ। বিএনপি ও জামায়াত ইসলাম ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া প্রবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

- Advertisement -islamibank

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মনে করেছে ইহুদিরা তাদের কোলে করে ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তা হবে না। মানুষ লাইন ধরে ভোট দেবে আর সেই ভোটে আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে দেশে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অবগত করে বিচারের সম্মুখীন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় চরিত্র হরণকারীদের অনেককে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে সেই দেশের প্রবাসীদের দিয়ে মামলা করানো হয়েছে। সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে দেওয়া মানে দূরত্ব নয়। সুতরাং আমিরাতেও অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অপপ্রচার রুখতে স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ২০ জন জবাব দিলে অপপ্রচার ঢাকা পড়ে যায়। তাই আপনাদের সোচ্চার হতে হবে। মনে রাখতে হবে, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তারা দুই দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

রাঙ্গুনিয়া প্রবাসীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি রাঙ্গুনিয়ার আপামর জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পাদন করেছি, সরকারি প্রকল্পের বাইরে নিজস্ব ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করেছি। এর মধ্যে ৫২টি ঘর, পারিবারিক সমন্বয়ে ২৪টি মসজিদ করে দিয়েছি। রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিটি দুর্গাপূজায় আমার অনুদান অব্যাহত থাকে।’

অনুষ্ঠানে আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুলের সভাপতিত্ব করেন। যৌথ সঞ্চালনায় ছিলেন সাইফুল ইসলাম তালুকদার ও সৌরভ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন, বাংলাদেশ সমিতি দুবাইয়ের পরিচালক ও অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ফজলুল কবির চৌধুরী এবং কনস্যুলেটের প্রেস সচিব মুহাম্মদ আরিফুর রহমান।

বক্তব্য দেন মুহাম্মদ আবু চৌধুরী, আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ ইউনুস, মোজাম্মেল ফরিদ, এমদাদ হোসেন, সাজ্জাদুল ইসলাম রুবেল, দিদারুল আলম হাসান, শোয়াইব হোসেন, দুবাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, দুবাই আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহের উল্লাহ মিয়া, হাজী শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবুল, মোহাম্মদ ফয়সাল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, তপন কান্তি শীল, মোহাম্মদ জাহেদুল আলম, আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

এছাড়া শনিবার সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশটির প্রেসিডেন্টের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM