অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের ৫ম ম্যাচে শেষ ওভারে ৪ টি ইয়র্কার লেন্থের বল দিয়ে ভারতকে দারুণ এক জয় এনে দলে পেস অ্যাটাকের নতুন মুখ আর্শদীপ সিং। ম্যাচটা জিতে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ভারত।
জেতার জন্য শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১০ রান। টি-টোয়েন্টি যুগে এমন অবস্থানে ব্যাটসম্যানই ফেবারিট। তবে আর্শদীপ কাল দেখালেন বোলিং কারিশমা।
শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে কোনো রানই নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। প্রথম দুই বল ডটের পর তৃতীয় বলে ওয়েড ছিলেন বাউন্ডারির সন্ধানে। তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন।
শেষ তিন বলে তিনটি সিঙ্গেল নিতে পারেন নাথান এলিস আর জেসন বেহরেনডর্ফ। সব মিলিয়ে ওভারের চারটিই দিয়েছেন ইয়র্কার। তাতেই ভারত জিতেছে ৬ রানের ব্যবধানে।
সিরিজের আর সব ম্যাচে রানের ছড়াছড়ি থাকলেও শেষ ম্যাচে ব্যাঙ্গালোর খুব বেশি রান দেখেনি। আগের ম্যাচগুলোতে দুই ওপেনার দারুণ শুরু এনে দিলেও এদিন জয়সওয়াল আর ঋতুরাজ খুব বেশি কিছু করতে পারেননি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে স্বাগতিকরা। মাত্র ৫৫ রানেই হারাতে হয় ৪ উইকেট। এরপর পঞ্চম উইকেট জিতেশ শর্মাইকে নিয়ে সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন শ্রেয়াস আইয়ার। অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে খেলেছেন ৪৬ রানের জুটি। তাতেই ১৬০ স্পর্শ করে ভারত। আইয়ার তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৮ম টি-টোয়েন্টি ফিফটি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বেন ডরশুইস ও জেসন বেহরেনডর্ফ।
লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার উইকেটও পড়েছে দ্রুতগতিতে। তৃতীয় ওভারে জশ ফিলিপে আউট হন মুকেশ কুমারেরর বলে। এরপর নিজের প্রথম দুই ওভারে হেড ও অ্যারন হার্ডিকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে দেন লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণই। তবে ট্রাভিস হেড ছিলেন নিজের ছন্দে। সেটাই অজিদের শুরুর ছয় ওভারে স্বস্তি দিয়েছিল।
হেড ফিরে গেলে টিম ডেভিডকে নিয়ে বেন ম্যাকডারমট ৪৭ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিই পথ দেখাতে থাকে অজিদের। ১৪তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হন ডেভিড। কিছুক্ষণ পর ম্যাকডারমটকে (৫৪) ফেরান অর্শদীপ।
১৭তম ওভারে টানা দুই বলে মুকেশ কুমার ম্যাথু শর্ট আর ডরশুইসের উইকেট তুলে নিলে ম্যাচ চলে যায় ভারতের নাগালে। কিন্তু ম্যাথু ওয়েড ছিলেন মাঠে। আবেশ খানের ওভারে টানা তিন বাউন্ডারি মেরে ম্যাচের পাল্লা আবারও অস্ট্রেলিয়ার দিকেনিয়ে আসেন।
শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ১৯তম ওভারে মুকেশ দেন ৭। শেষ ওভারে অর্শদীপের জন্য লক্ষ্য ছিল ১০। চারটি দুর্দান্ত ইয়র্কারে সেটাকেই যথেষ্ট বানিয়ে ফেলেন এই পেসার।
জেএন/পিআর