স্বল্প জনবলের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় কল এড়িয়ে সহজে নাগরিকদের সরকারি সেবা পেতে সহায়তাকল্পে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরের ‘স্মার্টসাথী’ চালু করা হয়েছে।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, “ভয়েস, নন-ভয়েস এবং এআই কথোপকথন পদ্ধতিতে তথ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সেবা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষামূলকভাবে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর ৩৩৩ হেল্প লাইনের ‘স্মার্টসাথী’ উদ্ভোধন করেন। ”
তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সরকারি সেবা সহজ ও সুন্দর করার লক্ষ্যে এই সেবা চালু করা হয়েছে।
ভূঁইয়া বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে ‘৩৩৩ হেল্পলাইন’ দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ও ত্রাণ সংশ্লিষ্ট সেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘৩৩৩ হেল্পলাইন’ এর ৬০ সদস্যের একটি টিম দৈনিক ৩৪ হাজার কল রিসিপ করেছে। এসময় সেবা প্রদানকারীরা অনেক বিরক্তিকর ও অপ্রয়োজনীয় কলও পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা দূর করতেই ‘স্মার্টসাথী’ চালু করা হয়েছে।
ভূঁইয়া বলেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এটুআই কর্তৃক উদ্ভাবিত এই নতুন ব্যবস্থার লক্ষ্য ছিল মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নাগরিকদের সরাসরি সংযুক্ত করা।
এই জাতীয় তথ্য সার্ভিস একটি কেন্দ্রীয় প্লাটফর্ম তৈরি করতে ৫৫ হাজারের বেশি ওয়েবসাইটের সমন্বয় ঘটায়।
বর্তমানে সামাজিক সমস্যার সমাধান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, সরকারি ভূমি সেবা, সার্ভিস সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে প্রতিবেদন, সাইবার নিরাপত্তা সহায়তা এবং নারী ও শিশুদের জন্য আইনি সহায়তাসহ ব্যাপক ভিত্তিক তথ্য সরবরাহ করছে ‘৩৩৩ হেল্পলাইন’।
ভূঁইয়া আরও বলেন, স্মার্টসাথী-ইন্টারএক্টিভ ভয়েস সার্ভিস (আইভিআর), কনভেনশনাল বোট ও দিনব্যাপী কথোপকথন এর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ৫টি বিষয়ে তথ্য প্রদান করবে।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট ৩৩৩’ বর্তমানে পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি এন্ড স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স সেবা এবং সরকারি কর্মচারিদের কন্টাক্ট ইনফর্মেশন সেবা দিয়ে থাকে।
ভূঁইয়া বলেন, ‘৩৩৩’ এ ডায়াল করে এবং জিরোতে চাপ দিয়ে অথবা নন-ভয়েস প্লাটফর্ম, টেলিগ্রাম অ্যাপ, ও ইমো অ্যাপ ব্যবহার করে যে কেউ এই সেবা পেতে পারেন।
জেএন/পিআর