আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হবে। ফলে পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমে যাবে।
আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট রুখে দিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেটি এখন আর নেই। তাহলে কি সিন্ডিকেট রুখে দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত দুই সপ্তাহে বেশির ভাগ দ্রব্যের মূল্য কমেছে। গরুর মাংস আমার এলাকায় সাড়ে ৫শ করে বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। যেটা কয়েক দিন আগে সাড়ে ৭শ থেকে ৮শ টাকা ছিল। শাকসবজির দাম কমেছে, অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়েছে। এক রাতে যেভাবে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছে, সে বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে একমত। সেটি হওয়ার কোনো কারণ ছিল না।
ভারত ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, এটা হয়েছে আমাদের পাইকারি বা খুচরা ব্যবসায়ী যাই বলেন সব প্রকার ব্যবসায়ীদের অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে যাওয়া, এটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ নিয়ে অভিযান শুরু করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩৩ জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে। এতে করে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পুরোপুরি আসেনি।
আমি আপনাদের অনুরোধ জানাব যে, কোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেয়ার যে মানসিকতা সেটি পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ে বলেন, এটির বিরুদ্ধে যদি গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সহায়ক হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, পেঁয়াজের দাম সহসা কমে যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হবে। এর পাশাপাশি একটি বিষয় হচ্ছে, আমরা যারা ভোক্তা তাদের ট্রেন্ড আছে কোনো পণ্যে সংকট রয়েছে গুজব রটলেই এক কেজির স্থলে ৫ কেজি কিনে নেয়। এতে করে ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ পায়।
এক্ষেত্রে ভোক্তাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। পেঁয়াজের দাম খুব সহসা কমে যাবে। ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসবে। সব মিলিয়ে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। এছাড়াও বেশির ভাগ পণ্যের দাম গত দুই সপ্তাহে কমেছে।
জেএন/পিআর