বড় পুঁজি নিয়েও নিউজিল্যান্ডে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে বোলারদের। শেষপর্যন্ত ২৬ রানের জয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ করেছে বাংলাদেশ। ভালো ব্যাটিং গড়ে দিয়েছে পার্থক্য।
৪৯.৫ ওভারে ৩৩৪ রান করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে কিউই একাদশও তিনশ পেরোয়। ৪ বল আগে ৩০৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড একাদশ। ১৭ ডিসেম্বর শুরু হতে চলা ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতি ভালোভাবেই সারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
লিংকনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে বড় রান তাড়া করতে নেমে টাইগার পেসারদের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কিউই দলটি। ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার জেকব কামিংস (২২) ও জেকব ভুলাকে (৮) আউট করেন।
তানজিম হাসান সাকিব ও আফিফ হোসেন সেখান থেকে চাপ বাড়ান। তারা একটি করে উইকেট তুলে নিলে স্বাগতিকদের স্কোর হয়ে যায় ৮০/৪।
সেখান থেকে পপলি ও প্যাটেল ১৫৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। দুজনই অর্ধশত করে শতকের পথে এগোচ্ছিলেন। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে দুজনকেই আউট করেন আফিফ। পপলির ব্যাটে আসে ৯২ রান, প্যাটেল করেন ৮৯। দুজনই সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন।
লেগ স্পিনে দারুণ ভেলকি দেখিয়ে রিশাদ হোসেন তুলে নেন ৩ উইকেট। আফিফও পান ৩ উইকেট।
বৃহস্পতিবার ভোরে সেসবের আগে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দেন রিশাদ। ৫৪ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন, ৩৩৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী দল। রয়ে যায় একটি বল। তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার ও লিটন দাস ফিফটি করে আউট হন।
ওপেনিংয়ে ভালো সূচনা পায় বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয় ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হলে ভাঙে ৪৭ রানে জুটি। তিনে নেমে সৌম্য দলকে বড় সংগ্রহের দিকে টানতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রানে জুটি গড়ে ওঠে। ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৪৬ বলে ৫৮ রান করে আউট হন তানজিদ। এরপর সৌম্য ফেরেন ৫৯ রান করে, খেলেন ৫৬ বল, হাঁকান ৮ চার ও ওক ছয়।
তৌহিদ হৃদয় ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি। ৫ বল খেলে ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। ফিফটি পেরিয়ে লিটন ৬৩ বলে ৫ চার ও এক ছয়ে ৫৫ রানে আউট হলে একাই দলকে তিনশর দিকে নিয়ে যান রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা পেলেও ব্যাটিং যে ভালোই জানেন সেটি প্রমাণ করেন।
বোলারদের সঙ্গ নিয়ে লড়ে ৫৪ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে থামেন রিশাদ, ইনিংসে ১১ চারের সাথে ৪টি ছক্কা হাঁকান। বাংলাদেশ পায় বড় পুঁজি।
১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর হবে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ। এরপর এমাসের ২৭ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টুয়েন্টি।
জেএন/পিআর