প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের দল করা, রাজনীতি করা ও ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। যারা রেললাইন উপড়ে ফেলে, আগুন সন্ত্রাস করে তারা পরাজিত শক্তির দালাল, তাদের না বলুন।
বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বাংলাদেশকে আর পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়েই আমরা সরকারে এসেছি। যার ফলে আজকে বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে। মাত্র তো ১৫ বছর একটানা সময় পেলাম। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, বাংলাদেশ আজকে একটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
যে বাংলাদেশকে পাকিস্তানির মনে করেছিল বোঝা, এটা চলে গেলেই ভালো। আজকে তারাই বলে, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আমরা বাংলাদেশের মতো উন্নত হতে চাই। আর যারা বলেছিল তলাবিহীন ঝুড়ি তারা দেখেছে যে, বাংলাদেশ-বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যায় না যেটা জাতির পিতা বলেছিলেন। আজকে তাদের চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগেই চক্রান্ত হয়। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এ দেশের মানুষের শক্তিই বড় শক্তি। আর সেই শক্তি আমাদের সঙ্গে আছে বলেই পর পর আমরা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা মাত্র ৫ বছর সময় পেয়েছিলাম। ওই একই শক্তির চক্রান্তে ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। যাই হোক অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের পর আমরা ২০০৯ সালে সরকারে আসতে পেরেছি।
আজকে একটানা ১৫ বছর দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে আমরা দেখি অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন। কতো মানুষকে যে তারা হত্যা করেছে। সেই জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন, সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীর শতশত অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধাকে তিনি হত্যা করেছেন। আর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিলেন।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
জেএন/পিআর