দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী অপরাধ আমলে নেওয়া ও সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইন-১ শাখার সহকারী সচিব মো. আল-আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ও তার আগের দুদিন এবং পরের দুদিন (মোট ৫ দিন) দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় আইন ও বিচার বিভাগের এক আদেশে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের আগের দুদিন এবং ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুইদিন (আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত) মোট পাঁচ দিনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি জানায়, ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পাওয়া নির্বাচনী এলাকায় এই নিয়োগপত্রের বিপরীতে সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করবেন।
ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোনো নির্বাচনী অপরাধ বিচারার্থে আমলে নেওয়া হলে সে মর্মে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিবের (আইন) কাছে পাঠাবেন।
দায়িত্ব পাওয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত অবমুক্ত করার জন্য সকল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করা হলো।
ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ১ জন বেঞ্চ সহকারী, স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সঙ্গে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের নিজ নিজ অফিস প্রধানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ করতে নির্বাচন কমিশন ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের পাঠানো ওই চিঠিতে পাঁচ দিনের জন্য এই সংখ্যক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়।
জেএন/পিআর