মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধের ফায়দা নেয়া কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার গণভবনে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি নাশকতাকারীদের প্রতি এ হুঁশিয়ারি দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। দেশের কিছু মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নাশকতা করছে। আন্দোলনের নামে মানুষ মেরে বিএনপি নির্বাচন বন্ধের ফায়দা লুটবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না।’
বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কী অর্জন করছে তারা, এটাই আমার প্রশ্ন। আমরা চাই সংঘাত বন্ধ হোক। মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচনী ফায়দা করবে, এটা এদেশে চলবে না। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যাবে না।
গণভবনে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ধর্মের নামে কোন সংঘাত, সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়- এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।’
সব ধর্মের মূল কথা শান্তি আর মানবকল্যাণ। সেটি মেনে চললেই ধর্মে ধর্মে বিভাজন থাকবে না, হবে না ধর্মীয় সংঘাত, মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কিন্তু রাজনীতির নামে অমানবিকতার চরম দৃষ্টান্ত দেখছে বিশ্ব। বাংলাদেশেও মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে সেই রাজনৈতিক স্বার্থে।
বিশ্বের সব খ্রিস্টান ধর্মের মানুষকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি সবার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সবার রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। এসময় প্যালেস্টাইনে ইসরাইলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে বিশ্বে অনন্য নজির গড়েছে সেটি কোনভাবেই যাতে নষ্ট না হয়, সবার প্রতি সে আহবান জানান শেখ হাসিনা।
বছরের শেষ উৎসব শুভ বড়দিন। একদিন আগেই গণভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে ছোটবোন শেখ রেহানাকে সাথে নিয়ে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন তিনি।
জেএন/পিআর