ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৬ হাজার ৩০০ নারী ও ৮ হাজার ৮০০ শিশুকে হত্যা করেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এতে আরো উঠে আসে, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে নিয়ে আসা নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২১ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে।
যুদ্ধবিরতি ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া না দিয়ে গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়ানো হয়েছ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গতকালের বিবৃতি অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৯৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩২৫ জন।
গাজায় বিপর্যয়কর মানবিক সংকট বিবেচনায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হলেও সেখানে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত সোমবার ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির এক সভায় নেতানিয়াহু জানান, সোমবার তিনি গাজা সফর করেছেন। সফরকালে তিনি ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা।
ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
জেএন/পিআর