আজ থেকে মাঠে থাকছে সশস্ত্র বাহিনী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী

- Advertisement -

ভোট গ্রহণের দিন ও এর আগে-পরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আজ বুধবার থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা সারাদেশে দায়িত্ব পালন করবে।

- Advertisement -google news follower

গতকাল মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) পরিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এর আগে নির্বাচনী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় গত ২৯ ডিসেম্বর সারাদেশে বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়।

- Advertisement -islamibank

আর জননিরাপত্তায় আজ থেকে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে গতকালই দূরবর্তী বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া শুরু করেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।

বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।

সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের এলাকাভিত্তিক মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬২ জেলায় সেনাবাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনাসহ মোট ১৯ উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫ উপজেলায় এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে বিজিবি।

সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী ৪৭ উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করবে।

বিমানবাহিনী দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোয় প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দিতে বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু থাকবে। নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের বিষয়ে গত ২১ ডিসেম্বর পরিপত্র জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মহানগর এলাকা, মহানগরের বাইরে, পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাইলে সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM