দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ১৪৫৯ ভোট কেন্দ্র

ভোটযুদ্ধের আগেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ভোটকেন্দ্রগুলোকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। বিগত নির্বাচনে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবারের নির্বাচনে আগাম নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে এসব কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়।

- Advertisement -

তালিকায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ২ হাজার ২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৪৫৯টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ চিহ্নিত করা হয়েছে।

- Advertisement -google news follower

সিএমপি ও জেলা পুলিশের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের ৬টি আসনের ৬৬০টি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। অন্যদিকে উপজেলার ১০টি আসনের ১ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।

সিএমপির দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৪৪৬টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ এবং ২১৪টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইভাবে জেলা পুলিশের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১ হাজার ১৩টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ এবং ৩৫০টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

- Advertisement -islamibank

চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৩ জন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবেন।

এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য, এক অথবা দুই জন গ্রাম পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। মেট্রোপলিটন এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে ৩ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবেন। এসব কেন্দ্রেও ১০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

অন্যদিকে, মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতি ১০টি কেন্দ্রের জন্য সিএমপির একটি মোবাইল টহল টিম মোতায়েন থাকবে। তাছাড়াও মহানগর এলাকার সব ভোটকেন্দ্রের জন্য ৪২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ৬ ও ৭ জানুয়ারি তারিখে অতিরিক্ত ১৫টি মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।

পাশাপাশি নগরের ৬টি আসনের জন্য সর্বমোট ৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। অতিরিক্ত ৭ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবে। উপজেলার আওতাধীন তিনটি উপজেলার প্রত্যেকটিতে ব্যাটেলিয়ন আনসারের ১৩টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে—আগের নির্বাচনে যেসব ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি, সংঘর্ষ হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে, কেন্দ্রে ভোটার বেশি, ভোটকেন্দ্রের নিকটবর্তী প্রার্থীর বাড়ি, কেন্দ্রে একাধিক প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, কেন্দ্রটিতে সহজভাবে যাতায়াত করা যায় না এবং হেঁটে যেতে হয়।

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে তিনটি পূর্ণাঙ্গ ও চারটি সংসদীয় আসনের আংশিক অবস্থান নগরে।

নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, নগরে ৬৬০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪৬টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন এবং কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন করে অস্ত্রধারী পুলিশ এবং ২ জন করে অস্ত্রধারীসহ ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।

এর পাশাপাশি মোবাইল টিম, থানা এবং কন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের কে-নাইন ইউনিটকেও স্ট্রাইকিং হিসেবে রাখা হবে।

নির্বাচনকে ভীতিহীন করতে তিন দিন আগে থেকে নির্বাচনের পর দিন পর্যন্ত পাঁচ দিনে নগর পুলিশের ৪ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।

জেএন/হিমেল/রাজীব

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM