চট্টগ্রাম নগর জুড়ে চলছে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত শেষ বারের মত প্রকাশ্যে গণসংযোগ ও ভোট চাইতে পারবেন প্রার্থীরা।
এদিকে নগর জুড়ে চায়ের দোকানে আড্ডার ফাঁকে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলাপ আলোচনা। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চালাচ্ছেন প্রচার। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রতিদিনই প্রার্থীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরামর্শমূলক সভা, পথসভা, বৈঠক এবং মাইকিং করে যাচ্ছেন।
তবে এবার ভোটাররা জানান, প্রতিবারই নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দেন প্রার্থীরা। এবারও তার ব্যঠতিক্রম নয়। তাই প্রার্থী বাছাইয়ের আগে জনমত ও মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন এবং নাগরিক সেবায় যাকে যোগ্যয় মনে হবে তাকেই ভোট দেবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ সড়কের দুদিকের দেয়ালে, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পোস্টারসহ নানা ধরনের ব্যানার শোভা পাচ্ছে। অলিগলিতেও ব্যানার বিলবোর্ডে শুভেচ্ছা, শুভকামনা ও দোয়া চেয়ে করা পোস্টার চোখে পড়ার মতো। এসব পোস্টারে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে। মূল সড়কের দোকান পাট থেকে শুরু করে ফুটপাতের আশেপাশের টং দোকানেও চলছে নির্বাচন নিয়ে জোর আলোচনা। কেউ কেউ আগে ভোট দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ এবারই প্রথমবার নির্বাচনে ভোট দেবেন। তাদের উদ্দীপনা একটু বেশিই লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সে জন্য নির্বাচন কমিশন ইতি মধ্যে সংগ্রহ করে নিয়েছে ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন পূর্বেই কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে ১৬শ মেট্টিক টন কাগজের চাহিদা দেয়। চাহিদা পাবার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনকে কাগজ সরবরাহ করার জন্য কর্ণফুলী পেপার মিল কর্তৃপক্ষ কাগজ উৎপাদন শুরু করেন।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে চাহিদানুযায়ী সব কাগজ কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারেত তার জন্য গত ৩ জানুয়ারি থেকে মোতায়েন করা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সন্দ্বীপের জন্য নৌবাহিনী।
এদিকে সিএমপির পক্ষে থেকেও নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। সিএমপির পেট্রল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া মতায়েন করা হয়েছে ৭৪ প্লাটুন বিজিবি।
এবার নগরের ৬৬০টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৪৪৬টি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
জেএন/পিআর