চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মশারি ও অন্যান্য জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে ১ হাজার টাকা করে ১৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন।
অর্থদণ্ড প্রাপ্ত জেলেরা হলেন- রহিম আলী (৪৭), সিটু মোল্লা (৪৭), তাহের মোল্লা (৪৫), মো. ফারুক (৫০), সাইফুল ইসলাম (২২), গফুর বেপারী (৩৫), সুমন (১৬), নাজমুল (১৮), আল আমিন (৩০), মো. আহসান উল্লাহ (৩০), সুলতান বেপারী (৩০), শাহজালাল (৩০) ও মো. আবদুর রহমান (৩০)। এসব জেলেরা শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার তারাবুনিয়া ও চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযানে অংশ নেয়া চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল এবং নিষিদ্ধ চাই অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় মেঘনা নদীর সদর উপজেলার কাছিকাটা এলাকায় মশারি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরা অবস্থায় ১৩জন জেলেকে আটক করা হয়।
একই সময় জব্দ করা হয় ১০টি মশারি জাল এবং নিষিদ্ধ ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল। জব্দকৃত জাল রাত ১০টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযানে চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, ক্ষেত্র সহকারী মো.জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার মো. সফিকুল ইসলামসহ কোস্টগার্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/পিআর