ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে সংগঠিত ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে ৪ দিন চট্টগ্রামকে ব্রিটিশ মুক্ত করে রেখেছিলেন বিপ্লবীরা।
সেই চট্টগ্রাম যুুব বিদ্রোহের দিন ১৮ এপ্রিলকে জাতীয় যুব দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যুব ইউনিয়ন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারেকেশ্বর দস্তিদারের ৯১তম ফাঁসি দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) নগরীর জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে স্থাপিত আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাস্টারদার দেখানো পথে বিপ্লবী তৎপরতায় বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরাজিত হয়েছে।
পাকিস্তানি শাসকদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে এদেশের মুক্তিকামী জনগন। যে আদর্শ নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা লড়াই করেছেন, কাংখিত সেই গণতান্ত্রিক ও শোষণ-বৈষম্যহীন রাষ্ট্র আজো আমরা পাইনি। আজো আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য, গণতান্ত্রিক ও শোষণ বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। অথচ তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সোনালী অতীত এখনো অজানা।
নেতৃবৃৃন্দ বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত জালালাবাদ পাহাড়ে এখনো কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি এবং এখনো উক্ত স্থানে সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। যুব বিদ্রোহের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে সংগঠিত ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে ৪ দিন চট্টগ্রামকে ব্রিটিশ মুক্ত করে রেখেছিলেন। সেই চট্টগ্রাম যুুব বিদ্রোহের দিন ১৮ এপ্রিলকে জাতীয় যুব দিবস ঘোষণার দাবি জানান। সব স্তরের পাঠ্যপুস্তকে এই ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
মাস্টারদা সূর্যসেন, তারেকেশ্বর দস্তিদার, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্তসহ বিপ্লবের মহানায়কদের স্মরণে বন্দরনগরীর প্রধান সড়কগুলোর নামকরণের দাবি জানানো হয় উক্ত সমাবেশে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সদস্য মেহেদী মিন্টু চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি প্রীতম চৌধুরী, রূপন কান্তি ধর, সহ-সম্পাদক শান্তনু চৌধুরী, কোষধ্যক্ষ অভিজিৎ বড়ুয়া, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব দাশ, সমাজকল্যান সম্পাদক জুয়েল বড়ুয়া, ক্রিড়া সম্পাদক মিঠুন দাশ, গৌতম কুমার বনিক প্রমুখ।
জেএন/পিআর