একযুগ পর বর্ষার মুন্নারে ফুটেছে নীলকুরিনিজি ফুল। পাহাড়ের কোলে যেন গোলাপি চাদর। গালিচা পেতে তৈরি গোলাপি-জামরঙের মেলবন্ধন।
ছোট্ট পাহাড়ি শহর মুন্নার সবুজের জন্য মনোমুগ্ধকর। ১২ বছরের ব্যবধানে মুন্নারের কোল যখন নীলকুরিনিজি আলো করে, তখন সবুজের চেয়েও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ছোট ছোট গোলাপি ফুলের সমাহার। যা দেখতে পর্যটকদের ভিড় মুন্নারজুড়ে।
১২ বছর অন্তর মুন্নারে ফোটে নীলকুরিনিজি। দেশের অনেক পর্যটকই নীলকুরিনিজির কথা মাথায় রেখে মুন্নারে আসেন। ১২ বছরের ব্যবধানটা যদিও বড্ড বেশি, কিন্তু মুন্নারকে যারা ভালোবাসেন- তারা জানেন কখন পাহাড়ের রং গোলাপি হয়। তাই আপাতত মুন্নারে পর্যটকদের বেশ ভিড়। বেশিরভাগ হোটেল, হোম স্টে ভর্তি। অনেকেই মুন্নারের গোলাপি শোভা দেখতে শহর থেকে অনেক দূরে থাকছেন।
কাশ্মীরে মার্চের টিউলিপ যতটা মনকাড়া, মুন্নারের নীলকুরিনিজিও ততটাই আকর্ষণীয়। একদিকে সবুজ চা বাগান, অন্যদিকে নীলকুরিনিজির গোলাপি-নীল-জামরঙের মিশ্রিত আভা, সবমিলিয়ে মুন্নার অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর। আর তারই মাঝে খেলছে ‘মঞ্জু’(স্থানীয় ভাষায়) অর্থাৎ কুয়াশা।
জুলাইয়ের শেষে ফুটেছে নীলকুরিনিজি, থাকবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। পাহাড়ি রাস্তার বাঁক যেখানে থমকে যাবে, সেখানেই দেখা মিলবে নীলকুরিনিজির। কারণ, চোখ মেললেই স্বপ্নের মুন্নার যেন রূপকথার দেশটিকেও হার মানায়।
জয়নিউজবিডি/আরসি