অবৈধ হকার উচ্ছেদের দাবিতে কলকাতার মিনি বাংলাদেশ বলে খ্যাত নিউমার্কেট চত্তরে বুধবার ধর্মঘট পালন করে নিউমার্কেট, হগ মার্কেটসহ ১০টি ব্যবসায়ী সংগঠন।
পকেটে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেও কেনাকাটা করার সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কলকাতায় অবস্থানরত হাজারো বাংলাদেশি নাগরিক।
আর এর জেরেই নিউমার্কেট চত্তরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত দোকানপাট। ফলে কেনাকাটা করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন কলকাতায় শপিং করতে আসা বাংলাদেশিরা।
কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার নিউমার্কেট চত্ত্বর। কেনাকাটা থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়া, সাজসজ্জা- সবকিছুই প্রায় এক ছাতার তলায় পাওয়া যায় এই নিউমার্কেট চত্ত্বরে।
স্বাভাবিকভাবেই বিদেশিদের কাছে বিশেষ করে বাংলাদেশিদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের জায়গা এই নিউমার্কেট। অনেকের কাছেই আবার মিনি বাংলাদেশ বলেও পরিচিত এই নিউ মার্কেট।
বাংলাদেশিরা পর্যটকরা কলকাতায় পা রেখেই এই নিউ মার্কেটের মার্কুইস স্ট্রীট, কিডস স্ট্রীট, সদর স্ট্রীট, টটি লেন সহ বিভিন্ন জায়গায় হোটলেই অবস্থান করেন। কেনাকাটা করেন নিউমার্কেট চত্বর থেকেই।
অভিযোগ রয়েছে সারা বছর বিদেশি নাগরিকদের সমাগমে জমজমাট থাকা এই এলাকায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়েছে অস্থায়ী দোকানপাট ও তীব্র হয়েছে হকার সমস্যা। এসব অস্থায়ী দোকানপাটের জেরে নিউমার্কেট চত্তরে বেড়েছে যানজট।
অন্যদিকে কর্পোরেশনের নথিভূক্তহীন এসব দোকানের বিরুদ্ধে সময় সময় বিদেশি নাগরিকদের হেনস্থা ও প্রতারণার অভিযোগ ও সামনে এসেছে।
ফলে ব্যবসার নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে নিউমার্কেট চত্বরের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের। তাই অবিলম্বে নিউমার্কেট চত্বরে হকার নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের দাবিতে বুধবার হগ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ নিউমার্কেট চত্বরের দশটি ব্যবসায়ী সংগঠনের ডাকে শুরু হয় হরতাল।
প্রাথমিকভাবে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই হরতালের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও সংগঠনগুলোর মিছিল ও অন্যান্য কর্মসূচির জেরে দিনভর ব্যবসায়িক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ে বিদেশি পর্যটক ঠাসা কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায়।
দিনভর ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন স্বল্প সময়ের জন্য কলকাতায় শপিং করতে আসা বাংলাদেশি সহ বিদেশি নাগরিকরা।
এ বিষয়ে নিউ মার্কেট এর ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানায় “হকার উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে বারবার পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও রাস্তা এবং ফুটপাত সহ হেরিটেজ হক মার্কেটের ও তার আশেপাশে হকার নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এরই প্রতিবাদে প্রতিকী বন্ধের ডাক ট্রেডার্স ফেডারেশনের।”
কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরা জানায়, কলকাতা ভ্রমণের শেষে কেনাকাটার জন্য বুধবার মার্কেটে এসে দেখেন ধর্মঘটের কারণে মার্কেট বন্ধ। পর্যটকদের এমন বিপাকে না ফেলে ব্যবসায়ীদের দাবি দেওয়া প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন বাংলাদেশিরা।
জেএন/পিআর