সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন অনেকেই। হাজার হাজার টাকা হারাচ্ছেন মানুষ। অনলাইন প্রতারণার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল হোয়াটসঅ্যাপ। সেই অ্যাপটিকে হাতিয়ার করেই আর্থিক প্রতারণার নানা রকমের ছক কষছেন জালিয়াতেরা।
প্রতারক চক্র নানান কৌশলে অ্যাকাউন্ট থেকে সাফ করে দিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে অনেকে নানা বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন।
বিভিন্ন অনলাইন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৮২ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী বিভিন্ন মাধ্যমে আসা ভুয়ো মেসেজে ক্লিক করেন। তার পরেই অ্যাঙ্কাউন্ট হ্যাক কিংবা অর্থক্ষতির মতো ঘটনা ঘটে।
তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই কিন্তু এই ধরনের বিপদ এড়িয়ে চলা যায়।
অচেনা ফোন নম্বর : ফোনে সেভ নেই এমন নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল এলে সাবধান হয়ে যান। বিদেশি কোনো নম্বর থেকে কল এলেও তা দেখে বোঝা যায়। এসব ক্ষেত্রে সেই নম্বরের কল রিসিভ না করাই ভালো।
পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিন : ব্যক্তিগত কোনো তথ্য কাউকে দেওয়ার আগে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিন। কথায় অসংগতি থাকলে বারবার যাচাই করুন।
এনআইডি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্য ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এটিএম কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে পিন নম্বর একান্তই আপনার, এমন তথ্য কোনো অবস্থাতেই দেবেন না।
তাড়াহুড়ো নয় : টাকা-পয়সা জেতার প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন প্রতারকরা। ক্রমাগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা পরিচয়পত্রের নম্বরের জন্য চাপ দিতে থাকেন তারা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়টুকুও দিতে চান না। এসময়ে তাড়াহুড়ো করা অনর্থক।
সন্দেহজনক লিংক : মোবাইলে মাঝে মাঝেই মেসেজ আসে– আপনি টাকা জিতেছেন। আর পাঠানো লিংকে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন সেই টাকা। এ ধরনের মেসেজের ক্ষেত্রে শতভাগ সম্ভাবনা থাকে প্রতারণার শিকার হওয়ার। এমন প্রলোভন থেকে দূরে থাকাই ভালো।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন : বাড়তি নিরাপত্তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে ‘টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন’র ব্যবস্থা। হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করার ঝুঁকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এ ব্যবস্থায়।
জেএন/পিআর