জাতীয় আয়কর দিবস শুক্রবার (৩০ নভেম্বর)। ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সারাদেশে দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচি নিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে রাজস্ব ভবন প্রাঙ্গণে আয়কর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে রাজস্ব কর্মকর্তারা ছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের জাতীয় পর্যায়ের সেলিব্রেটি, আয়কর আইনজীবী, সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করবেন।
জাতীয় নির্বাচনের কারণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার এনবিআর থেকে র্যালির আয়োজন করা হয়নি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান খাতই নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকরী মাধ্যম। প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি আয়কর মেলা ও আয়কর দিবস আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশে কর সংস্কৃতির লালন ও বিকাশ ত্বরান্বিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, কর আহরণের পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করাই কর বিভাগের প্রধান কাজ। দেশে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি গড়ার লক্ষ্যে এনবিআরের উদ্ভাবনী কর্মসূচির ছোঁয়া জাতীয় পর্যায় থেকে গ্রামপর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে।
তিনি এনবিআর রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জয়নিউজ/আরসি