মানিকগঞ্জে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধাকে উদ্ধার করে নদীর তীরে আনা হলো। ডুবে যাওয়ার প্রায় আট দিন পর বুধবার রাত ১১টায় নদীতে নিমজ্জিত ফেরিটি উদ্ধার করা হয়। পরে সেটি পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের পূর্বে দরিকান্দি এলাকায় নদী তীরে নোঙর করে রাখা হয়।
রজনীগন্ধা ফেরিটি উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন।
তিনি জানান, পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত, ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়।
বিভিন্নভাবে উদ্ধার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে ফেরিটিকে নদীর তলদেশ থেকে ওপরে ওঠানো সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, একইসাথে পানিতে তলিয়ে যাওয়া উদ্ধারের বাকি দুটি ট্রাকও আজ বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে।
গত আটদিনের অভিযানে ডুবে যাওয়া ফেরি, ফেরির সঙ্গে থাকা মালবাহী সকল গাড়ি ও নিখোঁজ ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের আর কিছুই বাকি নেই বলে জানান তিনি।
১৬ জানুয়ারি রাত ১২টার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ৯টি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে ফেরিটি। পরের দিন বুধবার (১৭ জুন) সকাল সোয়া আটটার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়।
ফেরি থেকে মোট ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিলেন ফেরিটির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবির।
গত সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
জেএন/পিআর