চট্টগ্রামে ভুয়া সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি এবং দস্যুতা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি এস এম মিজান উল্লাহকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছে। তবুও থেমে নেই তার প্রতারণা। গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে মানুষকে ঠকানোর নতুন ফন্দি আঁটে।মিজান সাতকানিয়া থানার পুরা নগর এলাকার মাওলানা ফরিদুল আলম সমরকান্দির ছেলে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর পাহাড়তলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, মিজান উল্লাহ সমরকন্দি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকায় বিভিন্ন সময়ে ভুয়া সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি এবং দস্যুতাসহ সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। র্যাবের গোয়েন্দা টিম তদন্ত করে অপরাধের সত্যতা খুঁজে পায়। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আকবরশাহ, পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ এবং সাতকানিয়া থানায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধসহ, প্রতারণা, হুমকি, চাঁদাবাজি এবং দস্যুতার ৫টি মামলা রয়েছে। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মিজান গ্রেপ্তার এড়াতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর পাহাড়তলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, আসামিকে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৬ মে রাঙ্গুনিয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করে তা নিয়ে সটকে পড়ার সময় মিজান ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে হাতেনাতে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। পরের বছর ২০ ফেব্রুয়ারিতে নগরের কর্নেলহাটে একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে প্রতারণার সময় সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়। এ সময় তার স্ত্রী পারভীন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে জামিনে বেরিয়ে স্বীকৃতি নামে একটি এনজিওর ব্যানারে লোকজনকে চাকরি ও দ্বিগুণ লভ্যাংশ দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় স্বামী-স্ত্রী। ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পারভীন আক্তারকে পাহাড়তলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এসএ