সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। ২০২১ সালের ৯ই মার্চ এই সেতুটি উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রকল্পের সব কাজ শেষ না হওয়ায় এতোদিন সেতুটি চালু করা যায়নি।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম শহর এবং বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে ফেণী নদীর উপর নির্মিত ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি। ২০১৫ সালে সেতুটি নির্মাণকাজ শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ঐ বছরের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে সেতুটির নাম দেওয়া হয় “মৈত্রী সেতু”। প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয় আনুমানিক ১৩৩ কোটি ভারতীয় রুপি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে ত্রিপুরার সাব্রুম। ফলে সেতুটি চালু হলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে আমদানি রপ্তানিও। ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগও সহজ হবে।
ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এলপিএআই) চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র সংবাদিকদের বলেন, উদ্বোধনের প্রায় তিন বছর পর সেতুটি চালু হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসে এটি চালু করার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বুধবার ত্রিপুরার সাব্রুম এলাকায় সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এলপিএআই চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, সচিব বিবেক বর্মণসহ অনান্য কর্মকর্তারা।
এসময় আদিত্য মিশ্র বলেন, ‘মৈত্রী সেতু চালু হলে দুদেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী চলাচল আরও সহজ হবে। এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৈত্রী সেতু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এবং উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের নতুন পথের সূচনা করবে। আগামী দিনে সেতুটি কার্গো এবং ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়াও দুই দেশের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেই বাংলাদেশ এবং আগরতলার মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথের উদ্বোধন দুদেশের প্রধানমন্ত্রী। মৈত্র সেতু চালু স্থলপথে যোগযোগ আরও সুগম হবে।
এসএ