চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের মা নার্সিং হোম থেকে ৩৫ বছর বয়সী এক সেবিকার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ২৭ জানুয়ারি শনিবার অনুমান রাত সাড়ে আটটার দিকে লাশ উদ্ধার করেছে।
ওই ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী কবির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা ধারালো ছুরি।
মৃত সেবিকার নাম হাফিজা খাতুন। তিনি জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের কবীরের স্ত্রী ও সন্তোষপুর গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে। সেবিকা দুই সন্তানের জননী।
পুলিশ জানায়, প্রথম স্বামীর সংসারে বিচ্ছেদের পর মা নার্সিং হোম এন্ড ক্লিনিকে নার্সের কাজ শুরু করেন হাফিজা। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন কবির হোসেনের সঙ্গে। গত কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
গতকাল রাতে ক্লিনিকে ঢুকে হাফিজাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন কবির। পরে তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাগবীর জানান, হাফিজাকে রাত ৮টা ৫০ এ হাসপাতালে আনলে তাকে মৃত অবস্থায় পায়, তার শরীরে গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে এবং এ আঘাতের ফলে রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ জানান, ২৭ জানুয়ারি অনুমান রাত সাড়ে আটটার দিকে জীবননগর মা নার্সিং হোমে দুর্বৃত্তের ধারালো ছোরার আঘাতে ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যরত সেবিকা হাফিজা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী কবির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেএন/পিআর