কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মো. ইয়াসিন (৩৫) নামের এক নৈশ্য প্রহরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাকে হত্যা করা হয়।
ইয়াসিন উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর ব্লক সি/১ ক্যাম্পের আব্দুল বারীর ছেলে। তিনি ক্যাম্পটিতে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পরিচালনাধীন শিশুদের জন্য চালু থাকা একটি লার্ণিং সেন্টারের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রোববার রাতে ইয়াছিন উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিনের মত নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রাতে অতর্কিত মুখোশধারী ৭ থেকে ৮ জনের অজ্ঞাত একদল দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে।
এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইয়াছিনকে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ইয়াছিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, কারা, কি কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
জেএন/পিআর