মালয়েশিয়া পাচারকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে ছয় নারীসহ ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে এক দালালকে।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ঘোলারচর মাঝেরপাড়া থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে র্যাব-৭। উদ্ধারকৃতরা হলেন মো জিয়া, রশিদ উল্লাহ, নুর আলম, মো. জাবের, মো. মোকাদেছা, জান্নাত আরা, সেতেরা, জোলেখা, রোজিনা ও সলিকা। তারা সবাই উখিয়া, কুতুপালং, জাদিমুরা, মৌচনী ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
র্যাব-৭ কক্সবাজারের ইনচার্জ মেজর মো. মেহেদী হাসান জয়নিউজকে জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আবদুর রহমানের বাড়িতে কিছু রোহিঙ্গাকে জড়ো করে রাখা হয়। এ খবর মেয়ে আমার নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের পাশাপাশি আটক করা হয় বাড়ির মালিক ও দালাল আবদুর রহমানকে (২৫)।
তিনি আরও জানান, নিরাপদে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভনে ১০ হাজার টাকা ‘টোকেন মানি’ নিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে আসা হয়। গভীর সাগরে একটি বড় ট্রলারে তাদের তুলে দেওয়ার কথা ছিল। মালয়েশিয়া পৌঁছার পর আরও ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার চুক্তি ছিল। এছাড়া রোহিঙ্গা নারীদের সেখানে বিয়ের ব্যবস্থার কথাও হয় বলে দাবি করেন নারীরা।
এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করার প্রস্তুতি চলছে বলে উল্লেখ করেন মেজর মেহেদী।
স্থানীয়রা জানান, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অবস্থান। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শীত মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া যেতে সাগরের ঝুঁকিপূর্ণ পথে নেমে পড়ছেন। কিছুদিন আগেও ১৪ রোহিঙ্গাকে একই এলাকার সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়। যারা মালয়েশিয়া যেতে দালালদের ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল।