বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে চারজন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিয়ে মোট সাতজন মারা গেছেন।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদগুলো নিশ্চিত করেন।
ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চার মুসল্লিরা হলেন- ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), নেত্রকোনার থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দী টোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০) মারা যান।
একই দুর্ঘটনায় আহত এসআই আমীর হামজাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তারা উভয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ থেকে ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ইজতেমায় যোগ দিতে সারাদেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে আসছেন দুদিন আগে থেকেই। বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপে করে দলে দলে ইজতেমায় আসছেন তারা।
শুক্রবার ফজরের পর পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলারের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের এ বার্ষিক সম্মিলন হবে আগের বারের মতই দুই পর্বে। ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং চার দিন বিরতি দিয়ে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব হবে।
জেএন/পিআর