ডলার সংকট/ঊর্ধ্বমুখী ডালের দাম

গেলো এক মাসে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে মসুর ডালের দাম। শুধু মসুর নয়, রমজানের আগে বাড়লো সব ধরনের ডালের দাম

- Advertisement -

আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকট আর এলসি জটিলতায় চাহিদার তুলনায় ডালের আমদানি কম হচ্ছে, ফলে শেষ কয়েক মাস ধরেই ডালের দামের ঊর্ধ্বমুখী।

- Advertisement -google news follower

দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে কোনোভাবেই উত্তাপ কমানো যাচ্ছে না। আজ চালের দাম বাড়ছে তো, কাল বাড়ছে ডালের দাম। তেল-নুন-আলু-পেঁয়াজের দাম তো বাড়ছে ক্ষণে ক্ষণে।

গরিবের ডাল অ্যাংকর, ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে থাকে দাম। এখন এই ডালের দামই পাইকারিতে ৬৬ আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি।

- Advertisement -islamibank

গত এক মাসে অ্যাংকর ডালের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।

গেলো এক মাসে মুগ ডালের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডালের বড় পাইকারি বাজার, নামা বাজারে এখন মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। খুচরায় যেটি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

ছোলার ডাল নামা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮৪ থেকে ৯২ টাকা কেজি। খুচরায় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি। এই ডালের দাম এক মাসে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এছাড়া মসুর ডাল ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, খেসারি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা এবং বাছা বুটের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি।

আমদানিকারকরা বললেন, এলসি জটিলতা, ডলারের দাম আর পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় ডালের আমদানি কম। তাছাড়া ডলার সংকটের কারণে আমদানি কম। তাই দাম বেড়েছে।

ডাল আমদানিকারক কালাচাঁদ সাহা অবশ্য বলছেন, রমজানে দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।

দেশে বর্তমানে ডালের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ টন।

অতিরিক্ত চাহিদা পূরণে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেপাল ও ভারত থেকে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টন ডাল আমদানি করতে হয়।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM