বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় সীমান্তের ওপারে আবারও গোলাগুলি চলছে। এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ায় আতঙ্কে সীমান্ত ঘেঁষা এলাকার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতভর মধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমার ভেতরে গতরাত থেকেই প্রচন্ড গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, সকালে তুমব্রু হিন্দু পাড়ার প্রবীর চন্দ্র ধর নামে একজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
এদিন আবারও ৩৩ নম্বর পিলার সীমানার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রুপশ্চিম কুলে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গত রাত থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলির বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বলে জানান ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন। এর আগে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ শুরু হয় দেড় বছর আগে। ২০২২ সালে জুলাই থেকে শুরু হয়ে টানা ছয়মাস যুদ্ধ চলে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও সম্প্রতি আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা জানান, গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির কারণে ধুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪ ফেব্রুয়ারি এক দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনি জানান, সীমান্তের একশ গজ দুরত্বে থাকা মিসকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেএন/এমআর