ভারতের উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলায় ২৫ জানুয়ারি একটি গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। কর্মকর্তাদের দাবি, অনুষ্ঠানে প্রায় ৫৬৮ দম্পতি বিয়ে করেছেন।
সম্প্রতি সেই বিয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, কনেরা নিজেরা নিজেদের মালা পরাচ্ছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গণবিয়ের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সরকারি কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গণবিয়ে অনুষ্ঠানে নববধূরা নিজেরাই নিজেদের মালা পরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এই কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন বর তাঁদের মুখ লুকিয়ে রেখেছেন।
বিমল কুমার পাঠক নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সাজানো বিয়ের জন্য প্রতি বরকে ৫০০ রুপি এবং কনেকে ২ হাজার রুপি করে দেওয়া হচ্ছিল। কিছু কনের বরও ছিল না। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মালা পরিয়েছেন।
১৯ বছর বয়সী রাজ কুমার নামের একজন অভিযোগ করেন, বিয়ে দেখতে যাওয়ার পর অর্থ দেওয়ার কথা বলে তাঁকে জোর করে বর সাজিয়ে বিয়ের আসরে বসানো হয়।
এই গণবিয়ের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিজেপি বিধায়ক কেতকি সিং। এই জালিয়াতিতে সরকারি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কেতকি বলেন, ‘তাঁরা আমাকে ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে জানিয়েছিল। আমি সন্দেহ করেছিলাম যে, সেখানে কিছু ঘটছে। এখন তো সম্পূর্ণ তদন্ত করা হচ্ছে।’
ভারতের সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এরকম গণবিয়েতে সরকার প্রতি বিয়ের জন্য ৫১ হাজার রুপি দিয়ে থাকে। তার মধ্যে ৩৫ হাজার রুপি পান কনে। ১০ হাজার রুপি দেওয়া হয় বিয়ের সরঞ্জাম কিনতে এবং ৬০০ রুপি দেওয়া হয় অনুষ্ঠান আয়োজন করতে।
কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্তদের কাছে কোনো অর্থ হস্তান্তর করার আগেই এই কেলেঙ্কারির বিষয়টি উন্মোচিত হয়। বিষয়টি তদন্ত করতে অবিলম্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ তদন্ত হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো স সুবিধাভোগীদের কাছে অর্থ হস্তান্তর করা হবে না।
জেএন/পিআর