মিয়ানমার ইস্যু/ প্রধানমন্ত্রী-ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক

মিয়ানমারে উদ্ভূত সংঘাত পরিস্থিতিতে নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অজিত দোভালের। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

- Advertisement -

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গত সপ্তাহে অঘোষিত এক সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এ সময় তিনি মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

- Advertisement -google news follower

তবে অজিত দোভালের ঢাকা সফরের আগে বা পরে এ সংক্রান্ত কোনো পূর্বঘোষণা ঢাকা বা নয়াদিল্লি— কোনো পক্ষই দেয়নি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া আরও জানায়, ঢাকা সফরের সময় মিয়ানমারের অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিসহ নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন দোভাল। সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারত সফর করেন। তার কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন অজিত দোভাল। তিন দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তার আবার আসার কথা রয়েছে।

- Advertisement -islamibank

বাংলাদেশ এবং ভারত— দু’দেশেরই দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মায়ানমারের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার এবং ভারত-মায়ানমার সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার।বাংলাদেশ এবং ভারত— দু’দেশেরই দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার এবং ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার।

এদিকে মায়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গত ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। তবে এই লড়াই নতুন গতি পেয়েছে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্র অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরপরই ফুঁসে উঠেছিল মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনতা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। কিন্তু মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করার পর ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেয়া শুরু করে।

২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মায়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে মায়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ)। জোটভুক্ত ৩টি গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এই সংঘাতের নেতৃত্বে রয়েছে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM