ব্যাট হাতে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দিলেন রেজা হেরড্রিক্স। শেষ দিকে ঝড় তুললেন জেমি নিশাম। বল হাতেও আলো ছড়ালেন নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান আরও মজবুদ করল রংপুর রাইডার্স।
বিপিএলের দশম আসরের ২৭তম ম্যাচে শনিবার চট্টগ্রামকে ৫৩ রানে হারিয়েছে রংপুর। ৮ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দলের এটি ষষ্ঠ জয়। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার শীর্ষে। সমান ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চট্টগ্রাম। আসরে এটি তাদের তৃতীয় পরাজয়।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১১ রানের পাহাড় গড়ে রংপুর। জবাবে ৬ উইকেটে ১৫৮ রানে আটকে যায় চট্টগ্রাম।
ব্যাট হাতে ২৬ বলে অপরাজিত ৫১ রানের পর বল হাতে ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের নায়ক নিশাম। ৪১ বলে ৫৮ রান করেন ওপেনার হেনড্রিক্স।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা রংপুরকে ৪১ বলে ৬১ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হেনড্রিক্স। জুটিতে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ বলে ২৪ রান অবদান রেখে ফিরেন রনি।
তিন নম্বরে নেমে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় আগ্রাসী মেজাজে ইনিংস শুরু করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এবারও ভালো শুরু করে ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে ১৩তম ওভারে চট্টগ্রামের পেসার সালাউদ্দিন শাকিলের শিকার হন সাকিব।
একই ওভারে ৩৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা হেনড্রিক্সকেও বিদায় দেন শাকিল। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪১ বলে ৫৮ রান করেন হেনড্রিক্স। দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন হেনড্রিক্স ও সাকিব।
১২২ রানের মধ্যে সাকিব-হেনড্রিক্সের ফেরার পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও নিউজিল্যান্ডের জেমস নিশাম। ৪৬ বলে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে রংপুরকে ৩ উইকেটে ২১১ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন তারা।
এবারের বিপিএল কোন দল এই প্রথম ২শ রানের কোটা স্পর্শ করলো। শেষ ৫ ওভারে ৭৫ রান যোগ করেন সোহান-নিশাম ।
ইনিংসের শেষ ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নিশাম। ইনংসে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৫১ রান করেন এ তারকা ব্যাটার। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ বলে অনবদ্য ৩১ রান করেন সোহান। চট্টগ্রামের শাকিল ১৫ রানে ২ উইকেট নেন।
জবাবে ধীর ব্যাটিংয়ে শুরুটা একদম ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। তৃতীয় ওভারে জস ব্রাউনকে (৯ বলে ১০) বোল্ড করে দেন সাকিব। দলীয় সপ্তম ওভারে ৩৭ রানে টস ব্রুসকে (১৩ বলে ১৪) এলবিডব্লিউ করেন ইমরান তাহির।
সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হন শাহাদাত হোসেন (১৩ বলে ৯)। একাদশ ওভারে চট্টগ্রামের রান তখন ৫০।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৫৮ রান যোগ করেন সৈকত আলি ও আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ রান করা ক্যাম্ফারকে শিকার করে জুটি ভাঙেন নিশাম।
সময় নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন সৈকত। শেষ দিকে সৈকত ও অধিনায়ক শুভাগত হোম ঝড় তুললেও তা হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। ৪৫ বলে ১টি চার ও ৬ ছক্কায় ৬৩ রান করে রান আউটের শিকার হন ওপেনার সৈকত। ১৩ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত।
২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে রংপুরের সেরা বোলার সাকিব। ম্যান অব দা ম্যাচ: জিমি নিশাম।
জেএন/পিআর