শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে অষ্টম দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দুই সহকারী প্রক্টর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারীরা হলেন-পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোরশেদুল আলম।
রবিবার সকালে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তাঁরা। পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যক্তিগত কারণের বাইরে অন্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি তাঁরা।
এদিকে, এ ঘটনায় আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দাখিল করতে পারেনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যৌন নিপীড়ন সেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন।
প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সংশ্লিষ্ট সেল কয়েকদিন সময় চেয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
তবে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা নয়, ব্যক্তিগত সমস্যা বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার।
অন্যদিকে, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা নিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই বিভাগেরই এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি-নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন উপাচার্যের কাছে।
জেএন/পিআর